জেলা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
করোনা সন্দেহভাজন অনেক রোগী সাধারণ ওয়ার্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২১, ১৮: ৩৯

চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা ওয়ার্ডে রোগীর স্বজনদের ব্যবস্থাপত্র বুঝিয়ে দিচ্ছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আজ বেলা ১১টায়ছবি: আনোয়ার হোসেন
২৫০ শয্যার চাঁপাইনবাবগঞ্জ হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়ে রোগী ও স্বজনেরা সন্তোষ প্রকাশ করলেও ওয়ার্ডের ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমতো মানা হচ্ছে না। আর সাধারণ ওয়ার্ডে সন্দেহভাজন অনেক করোনা রোগী ভর্তি আছেন, যা নিয়ে উদ্বেগে প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালের নতুন ভবনের পাঁচতলায় করোনা ওয়ার্ডে সরেজমিনে দেখা যায়, ওয়ার্ডের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন আবদুর রশিদ। তিনি বলেন, বাবা এখন ভালো আছেন, অক্সিজেন লাগছে না। মঙ্গলবার নমুনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার ফল আসেনি। কথা হয় রোগীদের স্বজন মমিনুল ইসলাম, মো. অনিক, মনিরাসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে। তাঁরাও চিকিৎসা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
মুনজেরি বেগম নামের এক নারী জানান, তাঁর স্বামী করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন কয়েক দিন থেকে। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামীর মাথার ওপর কোনো ফ্যান নেই। এই গরমে তিনি খুব কষ্ট পাচ্ছেন। ওই সময় সাব্বির আহমেদ (২৭) নামের এক রোগী ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে শৌচাগারে যাচ্ছিলেন। তিনি করোনা ওয়ার্ডের পরিবেশ জানাতে গিয়ে বলেন, রোগীর স্বজনদের আনাগোনা বেশি। এক রোগীর একাধিক স্বজন থাকছেন। বিছানায় বসছেন। বাড়ি থেকে আনা খাবার খাইয়ে দিচ্ছেন। অবস্থা দেখে মনে হয়, এটা কোনো সাধারণ ওয়ার্ড।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা ওয়ার্ডের দৃশ্য। আজ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালেছবি: প্রথম আলো
রোগীর একাধিক স্বজনের উপস্থিতি সম্পর্কে করোনা ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা তাঁদের থাকতে নিষেধ করি। কিন্তু তাঁরা আমাদের কথা মানেন না। আমরা তো তাঁদের ওপর জোর করতে পারছি না।’ তিনি আরও জানান, এ ওয়ার্ডে কয়েকজন রোগীর অবস্থা জটিল। একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালের দোতলায় বহির্বিভাগে চিকিৎসকদের কক্ষের সামনে দেখা যায় রোগীদের লম্বা সারি। তাঁদের মুখে মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই। পুরুষ রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছিলেন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা (স্যাকমো) শামসুল গণি। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন (দুপুর ১২টা) পর্যন্ত আমি ৬৫ জন রোগীকে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছি। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা-জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভোগা রোগী।’ পাশের কক্ষে নারীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন স্যাকমো মনিরা খাতুন। তিনি ৫০ জন রোগীকে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন বলে জানান। তাঁদের বেশির ভাগই ঠান্ডা-জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত।
হাসপাতালের পুরোনো ভবনের পুরুষ ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, রোগীদের পাশে বসে আছেন স্বজনেরা। সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই। দায়িত্বরত সেবিকা পাপিয়া খাতুন বলেন, এ ওয়ার্ডে এখন রোগী আছেন ২৬ জন। অধিকাংশই সন্দেহভাজন করোনা রোগী। তাঁরা করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়ার মতো। কিন্তু সেখানে শয্যা না থাকায় তাঁদের পাঠানো যাচ্ছে না।
শিশু ওয়ার্ডে শিশুবিশেষজ্ঞ মাহফুজ রায়হান জানান, শিশু ওয়ার্ড, নবজাতক ওয়ার্ড ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে এখন ভর্তি আছে ৫০ শিশু। গত বুধবার এর চেয়ে কম ছিল। করোনা সন্দেহভাজন রোগী আছে, কিন্তু কম। অভিভাবকদের করোনা পরীক্ষা করাতে বলছেন তাঁরা। কিন্তু তাঁরা করাচ্ছেন না।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) নাদিম সরকার প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপিত হওয়ায় অক্সিজেন সরবরাহব্যবস্থা মোটামুটি উন্নত হয়েছে। করোনা ওয়ার্ডে শয্যাসংখ্যা বাড়িয়ে ৩০টি করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে এটি কার্যকর হবে। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের অনেকেই সন্দেহভাজন। তাঁদের করোনার উপসর্গ রয়েছে। এর মধ্যে যাঁদের অবস্থা বেশি খারাপ, তাঁদের করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হবে। করোনা ওয়ার্ডে স্বজনদের আনাগোনা বেশি থাকা প্রসঙ্গে আরএমও বলেন, ‘বুধবার আমি নিজে ওয়ার্ডের ভেতরে গিয়ে পাঁচজনকে বের করে নিয়ে এসেছি। লোকজন খুবই অসচেতন। স্বাস্থ্যবিধি কিছুতেই মানতে চায় না।’
জেলা থেকে আরও পড়ুন
বিশেষ সংবাদ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
হাসপাতাল
রাজশাহী বিভাগ
মন্তব্য করুন
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্ব দেওয়া হোক
আয় কম, ব্যয় ও ধার বেশি
কোম্পানির করহারে বড় ব্যবধান চা
মানুষ অভুক্ত, বড় বাজেটে লাভ কী
জোয়ার, জলোচ্ছ্বাসের বড় শিকার শিশুরা
১১ ঘণ্টা আগে

জেলা
প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

প্রতিনিধি
শেরপুর
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২১, ২১: ৩৩
অ+অ-

শেরপুরের ঝিনাইগাতী ইউনিয়ন পরিষদের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেনছবি:সংগৃহীত
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের এক উপসচিব স্বাক্ষরিত ১ জুনের এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ইতিমধ্যে এ আদেশ কার্যকর হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. আবুজাফর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ঝিনাইগাতী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন ইউপি কার্যালয়ের মাঠে বালু ভরাট প্রকল্পের ৭৪ হাজার ৯৩৬ টাকা, ইউপির আসবাবপত্র সরবরাহ প্রকল্পের ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে শৌচাগার সরবরাহ প্রকল্পের ২ লাখ টাকা উত্তোলন করে নামমাত্র ৪৫ হাজার টাকার মালামাল কিনে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ ছাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন স্টেডিয়ামের পেছনে পশ্চিম দিকে রাজ্জাক মাস্টারের পুকুরপাড় পর্যন্ত মাটি ভরাট প্রকল্পের ২৯ হাজার টাকা, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের মেঝে নির্মাণ প্রকল্পের ২৪ হাজার টাকা এবং সুরিহারা ভবানীখিলা রাস্তায় সুরুজ মিয়ার বাড়ির সামনে ৩৭ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ১ লাখ ২০ হাজার টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন। স্থানীয় তদন্তে ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে এসব প্রকল্পের আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। শেরপুরের জেলা প্রশাসক ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশও করেছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঝিনাইগাতী ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেনকে ইউনিয়ন পরিষদে ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয়। এ অবস্থায় মোফাজ্জল হোসেনের অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থে পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী তাঁকে ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সাময়িক বরখাস্তের আদেশের চিঠি তিনি এখনো পাননি। তবে প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, তিনি সরকারি টাকা যথাযথভাবে মাস্টাররোল তৈরি করে ব্যয় করেছেন। কোনো অনিয়ম বা টাকা আত্মসাৎ করেননি। একটি চক্র তাঁকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। চিঠি পাওয়ার পর এ বিষয়ে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
বিজ্ঞাপন
জেলা থেকে আরও পড়ুন
আত্মসাত
স্থানীয় সরকার
ঝিনাইগাতী
অপরাধ
ময়মনসিংহ বিভাগ
শেরপুর
মন্তব্য করুন
বিজ্ঞাপন
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
টাকা আত্মসাৎ মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
২৪ মে ২০২১, ১১: ৫৩
ইলন মাস্ক সেজে ২০ লাখ ডলার আত্মসাৎ
২২ মে ২০২১, ১৩: ৪৭
বেতনের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় রেলকর্মীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
১২ মে ২০২১, ১৪: ৫৯
সই জাল করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রকল্প কর্মকর্তা বরখাস্ত
০৩ মে ২০২১, ১৮: ৪৩
ইউএনওর সই জাল করে আত্মসাতের অভিযোগে প্রকল্প কর্মকর্তা আটক
০১ মে ২০২১, ১৫: ৩৬

জেলা
প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগ
‘তিরান পাইছি নিশ্চিন্তি কয়দিন খাতি পারবানে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
খুলনা
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২১, ২১: ২৯
অ+অ-
খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট নিয়ে মাদ্রাসা ভবনের নিচের তলার এক কোণে জড়োসড়ো হয়ে বসেছিলেন সালেহা বেগম (৭৫)। অসুস্থ হয়ে স্বামী বসে আছেন বাড়িতে। নিজের শরীরও আর চলে না। তারপরও প্রতিদিন কাজ করে ঘরের জন্য খাবার জোগাড় করতে হয়। কিন্তু জলোচ্ছ্বাসে এলাকার বাঁধ ভেঙে এখন তাঁর ঘরে হাঁটুপানি আর খাবারের কষ্ট।
ত্রাণ নিয়ে কী করবেন, বলতেই শুকনা মুখে হাসি ফোটে সালেহা বেগমের। ফোকলা দাঁতে একঝলক হাসি দিয়ে বলেন, ‘তিরান (ত্রাণ) পাইছি কয়দিন খাতি (খেতে) পারবানে।’ ঘরের মধ্যে হাঁটুপানির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাবা বড় কষ্ট কুরি আছি। কবে যে পানি সরি যাবে, সেই চিন্তায় আছি।’
বিজ্ঞাপন
খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের সালেহা বেগমের মতো ২১০ জন বন্যাদুর্গত মানুষকে খাদ্যসহায়তা দিয়েছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কালনা আমিনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার মাঠে ওই খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট বিতরণ করা হয়। বিতরণকাজে সার্বিক সহযোগিতা করে প্রথম আলো খুলনা বন্ধুসভা। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল—চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলু, পেঁয়াজ ও সাবান।
ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে কয়রার বিভিন্ন এলাকার বাঁধ ভেঙে যায়। প্রায় সব কটি এলাকার বাঁধ মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করেছে। বুধবার মহারাজপুরের দশহালিয়া এলাকার ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু গ্রামের মধ্যে পানি রয়ে গেছে। এখনো হাঁটুপানিতে তলিয়ে আছে বাড়িঘর। ওই মানুষগুলোর হাতেই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে খাদ্যসামগ্রী।
প্রথম আলো ট্রাস্টের খাদ্যসামগ্রী পেয়ে খুশি ষাটোর্ধ্ব জরিনা বেগমও। স্বামী নূরুল হক সরদার মারা গেছেন কয়েক মাস আগে। এখন অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চলছে তাঁর। জরিনা বলেন, ‘তিরান পাইয়ি খুব খুশি হইছি। বানের পানিতি বাড়িঘর পইড়ি গেছে, এখন অন্যের বাড়ি থাকতিছি।’
খাদ্যসামগ্রী বিতরণের সময় বক্তব্য দেন ওই গ্রামের ছেলে ও বেসরকারি ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রভাষক আজিজুল ইসলাম। তিনি এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রথম আলো শুধু একটি পত্রিকা নয়, সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি সেটি এখন একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। দায়িত্বশীল সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি মানুষের সেবার জন্যও কাজ করে যাচ্ছে। প্রথম আলোর এমন উদ্যোগ অটুট থাকুক, সেই কামনা করেন তিনি।
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মঞ্জুরুল আলম বলেন, এক সপ্তাহ ধরে মহারাজপুর ইউনিয়নের প্রায় অর্ধেক গ্রাম পানিতে তলিয়ে আছে। নিম্ন আয়ের মানুষ খুব কষ্টে আছে। তারপরও তারা কোনো খাদ্যসহায়তা পায়নি। প্রথম আলো খাদ্যসহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে এটি সত্যিই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
বিজ্ঞাপন
প্রথম আলো খুলনা বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক আসফিক আহমাদ সিদ্দিকী বলেন, প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আইলার পর কয়রা এলাকায় পানিতে ডুবে থাকা মানুষের হাতে সবার আগে খাদ্যসহায়তা তুলে দিয়েছিল প্রথম আলো ট্রাস্ট। গত বছর আম্পানের পরদিনই কয়রা এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়নে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছিল। এবারও দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রথম আলো।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর খুলনার নিজস্ব প্রতিবেদক শেখ আল-এহসান, খুলনা বন্ধুসভার সহসভাপতি উত্তম তরফদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব কুমার, সাংগঠনিক সম্পাদক পাপন কংস বনিক, নারীবিষয়ক সস্পাদক বনানী আফরোজ, প্রচার সম্পাদক আলফি শাহরিনসহ ১৪ জন সদস্য।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন।
হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল
হিসাব নম্বর: ২০৭ ২০০ ১১১৯৪
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।
জেলা থেকে আরও পড়ুন
ত্রাণ তহবিল
প্রথম আলো ট্রাস্ট
খুলনা
কয়রা
বন্ধুসভা
খুলনা বিভাগ
মন্তব্য করুন
বিজ্ঞাপন
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
‘দান করে যাঁরা নিউজ চান না, তাঁরাই সেরা’
২৮ মে ২০২১, ১২: ০০
শীত–বর্ষাতেও এখন শান্তিতে ঘুমাবেন বৃদ্ধ দম্পতি
২৭ মে ২০২১, ২০: ৪৬
সুফিয়াদের বাড়িতে এবার ঈদে পোলাও হবে
০৯ মে ২০২১, ১৯: ১৯
পরিসংখ্যান ক্যাডার সমিতির ত্রাণ বিতরণ
০৯ মে ২০২১, ১৫: ২৪
ধরলা ও রত্নাই পারের অসহায় মানুষেরা পেল ঈদ উপহার
০৮ মে ২০২১, ২১: ৩৯

জেলা
অপহরণের দুই ঘণ্টার মধ্যে কলেজছাত্র উদ্ধার

প্রতিনিধি
নরসিংদী
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২১, ২১: ১৯
অ+অ-
নরসিংদী শহরের ব্রাহ্মন্দী থেকে এক কলেজছাত্রকে অপহরণের দুই ঘণ্টার মধ্যে শিবপুর থেকে উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। একই সঙ্গে অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে শিবপুরের ঘাগটিয়া গ্রামের একটি পুকুরপাড় থেকে ওই কলেজছাত্রকে উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আশরাফুল আজিম বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার আগেই আমরা নিজেরা উদ্যোগী হয়ে অপহরণের দুই ঘণ্টার মধ্যেই ওই কলেজছাত্রকে উদ্ধার ও তাঁকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছি।’
অপহৃত ওই কলেজছাত্রের নাম সবুজ মোল্লা (১৮)। তিনি শহরের ব্রাহ্মন্দী এলাকার ন্যাশনাল কলেজ অব এডুকেশন নামের একটি বেসরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও সদর উপজেলার চরাঞ্চল করিমপুরের বাদল মোল্লার ছেলে।
বিজ্ঞাপন
সবুজ মোল্লাকে অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজন হলেন নরসিংদী শহরের সংগীতা এলাকার নাদিম মিয়া ( ১৯), মো. আরিফ মিয়া (২০), ভেলানগর এলাকার প্রান্ত চন্দ্র দাস এবং রায়পুরা উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার মো. মামুন (২৫)।
পুলিশ ও সবুজ মোল্লার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল সাতটার দিকে সবুজ মোল্লা নামের ওই কলেজছাত্র শহরের শালিধা এলাকা থেকে ব্রাহ্মন্দী এলাকায় প্রাইভেট পড়তে আসেন। বেলা ১১টার দিকে প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে নরসিংদী সরকারি কলেজ–সংলগ্ন স্থান থেকে তাঁকে জোরপূর্বক একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় তুলে নেন চার যুবক। পরে অপহরণকারীরা তাঁকে শিবপুর উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে যান। এ সময় তাঁরা তাঁর পকেটে থাকা চারা হাজার টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে ওই মুঠোফোনের মাধ্যমে তাঁর মামাকে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ওই চার অপহরণকারী। এই টাকা দিতে না পারলে তাঁকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
জেলা পুলিশ বলছে, নরসিংদী সরকারি কলেজের সামনে এই ঘটনা নিজ চোখে দেখেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) এক কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তার মাধ্যমে ঘটনাটি এসপি কাজী আশরাফুল আজীম জানতে পারেন। পরে এসপির নির্দেশে জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাসারের নেতৃত্বে কলেজছাত্র সবুজ মোল্লাকে উদ্ধার এবং তাঁকে অপহরণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে চার হাজার টাকা, একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং একটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম জানান, এই ঘটনায় নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করেছেন অপহরণের শিকার সবুজ মোল্লা। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চার আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
বিজ্ঞাপন
জেলা থেকে আরও পড়ুন
ঢাকা
অপরাধ
অপহরণ
নরসিংদী
মন্তব্য করুন
বিজ্ঞাপন
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
‘পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদাম কবে সরবে?’
১ ঘণ্টা আগে
সাইকেলে জীবিকা, রোমাঞ্চ, স্বাধীনতার সন্ধানে
১২ ঘণ্টা আগে
ভাঙ্গায় মামলা দায়েরের ১২ ঘণ্টায় অভিযোগপত্র দিল পুলিশ
২৩ ঘণ্টা আগে
আদালতে আরও এক আসামির স্বীকারোক্তি
০২ জুন ২০২১, ২০: ৫০
রাজধানীর যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না কাল
০২ জুন ২০২১, ১৮: ৫৩

জেলা
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
করোনা রোগী রাখার জায়গা নেই

আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ
রাজশাহী
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২১, ২১: ১৬
অ+অ-
আবদুল মতিনের এক হাতে ট্রলি, অন্য হাতে মুঠোফোন কানে চেপে ধরে আছেন। ট্রলিতে অক্সিজেনের মাস্ক পরানো রোগী। তিনি মুঠোফোনে কাকে যেন বলছেন, ‘এক ওয়ার্ড থেকে আরেক ওয়ার্ডে দৌড়াতে দৌড়াতে যদি অক্সিজেন শেষ হয়ে যায়, তাহলে আমার রোগীই তো মারা যাবে। আমার রোগীর একটা উপায় করেন।’ এভাবে আবদুল মতিন ট্রলি টেনে নিয়ে আইসিইউর সামনে এলেন।
কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভাই, আমি পাগল হয়ে গেছি। আমি কোনো কথা বলতে পারব না।’ সঙ্গে যে ট্রলিম্যান ছিলেন তিনি বললেন, রোগীটা আইসিইউতে ছিল। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাঁকে সাধারণ ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের ১ নম্বর ওয়ার্ডে নিতে বলা হয়েছিল। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, ওয়ার্ডটি করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এখনো অক্সিজেনের সংযোগ দেওয়া হয়নি। সেখানে রোগী রাখা যাবে না। সেখান থেকে ফিরে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নেওয়া হলো। সেখানে কোনো শয্যা খালি নেই। সেখান থেকে ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে নিতে বলা হলো। সেখানেও কোনো শয্যা খালি নেই।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪০। তাঁদের মধ্যে ৭৭ জনেরই আইসিইউ প্রয়োজন। ১৭টি আইসিইউ বেড, কেবিন ও ৮টি ওয়ার্ড মিলে হাসপাতালে মোট ২৩২টি করোনা শয্যার ব্যবস্থা রয়েছে। এই অবস্থায় রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
একজন রোগীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন স্বাভাবিক পর্যায়ে এলেই তাঁকে সাধারণ করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু রোগীর এতই চাপ যে সেই রোগী ফিরে এসে করোনা ওয়ার্ডে আর শয্যা পাচ্ছেন না। সেই অবস্থাই হয়েছে আবদুল মতিনের রোগী চম্পা বেগমের ক্ষেত্রে।
হাসপাতালে ৫ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন করোনা রোগী সৈকত হাসান (৩০)। তাঁর অবস্থার উন্নতি হওয়ায় আজ সকালে তাঁকেও আইসিইউ থেকে সাধারণ ওয়ার্ডে দেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাঁর মা শুকলা হাসান জানান, তাঁর ছেলে ঠিকমতো অক্সিজেন পাচ্ছেন না। তাঁর ছেলেকে আবার আইসিইউতে নিতে হবে।
এদিকে হাসপাতালে গুরুতর রোগী ছাড়া কোনো করোনা রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে গেলেই শুধু তাঁদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। অন্যদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিতে বলা হচ্ছে। বাসায় চিকিৎসা নিয়েও যাঁরা সুস্থ হচ্ছেন না, অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে, তাঁরাই শেষ সময়ে হাসপাতালে আসছেন। এ জন্য এবার হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যাই বেশি।
বিজ্ঞাপন
এদিকে গত বছর এ ধরনের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ১৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটি দল গঠন করা হয়েছিল। তাঁরা অনলাইনে রোগীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এবার পরিস্থিতি গত বছরের চেয়ে বেশি খারাপ হলেও এই বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে না। ফলে রোগীরা এই সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। এই বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান ছিলেন মেডিসিন বিভাগের প্রধান আজিজুল হক আজাদ। যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এবার সেই বিশেষজ্ঞ দল আর গঠন করা হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে তাঁদের কিছু বলেনি। এ জন্য তাঁরা অনলাইনে চিকিৎসা দিচ্ছেন না। তবে জটিল রোগীদের তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, এবার করোনা রোগীদের ধরন একটু অন্য রকম। যে রোগী আসছেন, তাঁরই অক্সিজেনের প্রয়োজন, তাঁরই আইসিইউ প্রয়োজন। পরীক্ষায় দেখা গেছে, ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ করোনা রোগীর ফুসফুসে সমস্যা। তাঁরা করোনা থেকে রেহাই পেলেও ফুসফুসের অসুখ থেকেই যাবে। তিনি বলেন, আজ সকালে সুব্রত নামের ২৫ বছর বয়সী এক তরুণ মারা গেছেন। দুই দিন আগে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এত কম বয়সী ছেলেটাকে বাঁচানো গেল না! ওই তরুণ মাস্ক পরতেন না। মোস্তফা কামাল বললেন, মাস্ক পরার ব্যাপারে সবারই সচেতন হওয়া উচিত। হাসপাতালে আর করোনা রোগী রাখার জায়গা নেই। এখন মেঝেতে রাখতে হবে। মাল্টিপোস্ট ব্যবহার করে একটি পয়েন্ট থেকেই পাঁচজনকে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
আইসিইউ ওয়ার্ডের পেছনে দেখা গেল, তিনটা অক্সিজেন সিলিন্ডার, দুজন রোগীর স্বজন অপেক্ষায় আছেন। তাঁদের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর এলাকায়। দুই স্বজনের একজনের নাম মো. নাইম। তিনি বলেন, তাঁর রোগী ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে আছেন। তাঁদের আইসিইউ দরকার। কিন্তু সেখানে শয্যা খালি নেই। এখন সাধারণ ওয়ার্ডে আছেন। গতকাল বুধবার বিকেলে ঠিকমতো অক্সিজেন পাচ্ছিল না। তাই সিলিন্ডার কিনে নিয়ে প্রস্তুত হয়ে আছেন।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম ইয়াজদানী প্রথম আলোকে বলেন, দিনেই ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি করোনা রোগী চলে এসেছেন। রাত এখনো বাকি। তবে বিভাগীয় কমিশনার রাজশাহী সদর হাসপাতালে ১ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানান্তর করার উদ্যোগ নিয়েছেন। আজ দুপুরে তাঁরা সেটা পরিদর্শন করেছেন। গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা মেরামতের একটা বাজেট করবেন। বাজেট এলে তখন সেটা করা যাবে। আপাতত অতিরিক্ত করোনা রোগীদের মেঝেতে রাখতে হবে। তাঁদের অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে। প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে।
জেলা থেকে আরও পড়ুন
সরেজমিন
রাজশাহী
হাসপাতাল
রাজশাহী বিভাগ
মন্তব্য করুন
বিজ্ঞাপন
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই
১ ঘণ্টা আগে

‘লাকিং মে অপহৃত হয়েছিল’
০৫ জানুয়ারি ২০২১, ১৭: ৩৬

‘ছান্দে’র শাসনে তটস্থ বানিয়াচংয়ের মানুষ
৩০ অক্টোবর ২০২০, ২১: ৩৪

ঝুপড়িঘর থেকে ফ্ল্যাটে, কেমন কাটছে তাঁদের দিন
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২২: ২৬

আম্পানে লন্ডভন্ড জীবন, খুব কষ্টে আছে কয়রার মানুষ
০৯ আগস্ট ২০২০, ০৯: ০০

জেলা
সুন্দরগঞ্জে তিস্তার ভাঙনে শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন

প্রতিনিধি
গাইবান্ধা
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২১, ২১: ০২
অ+অ-
দফায় দফায় বর্ষণ ও উজানের ঢলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। গত দুই দিনে ৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি, ১০০ একর আবাদি জমি ও অনেক গাছপালা বিলীন হয়ে গেছে।
ভাঙনের কবলে পড়া গ্রামগুলো হচ্ছে উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ি, পাঁচপীর খেয়াঘাট, তারাপুর ইউনিয়নের খোদ্দা, লাঠশালা এবং হরিপুর ইউনিয়নের কাশিম বাজার। ভাঙনের কারণে বর্তমানে অসংখ্য ঘরবাড়ি হুমকির সম্মুখীন। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে দুই শতাধিক মানুষ। আশ্রয়হীন মানুষ সরকারি জায়গা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, কেউ ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন, কেউ নদী থেকে দূরে নতুন করে একচালা ঘর তুলছেন। অনেকে আসবাব সরিয়ে নিচ্ছেন। হরিপুর ইউনিয়নের কাশিম বাজার গ্রামের আবদুল আজিজ (৪৫) বলেন, ‘গত সাত দিনে তিস্তার ভাঙনে আমার তিনটি ঘর ও বসতভিটা বিলীন হয়েছে। ঘরে থাকা জিনিসপত্র ভেসে গেছে। কিন্তু ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’
একই গ্রামের কৃষক জাহিদুল মিয়া (৫০) বলেন, ‘হামারঘরে জমাজমি, বাড়িভিটা সগি আচিল। নদী ভাঙি হামরাঘরে একন কিচুই নাই। কামলার কাম না করলে পেটোত ভাত যায় না। তোমরা বেশি করি নেকেন, সোরকার জানি নদী ভাঙ্গার হাত থাকি হামারঘরোক বাঁচায়।’
হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম বলেন, তাঁর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন ১০-১৫ ফুট পরিমাণ জায়গা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ভাঙন রোধে জোরালো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
চণ্ডীপুর ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ি গ্রামের কৃষক আবদুল হক (৫৫) বলেন, সাত দিনের ব্যবধানে তিস্তার ভাঙনে তাঁর চারটি টিনের ঘর, বসতভিটা ও ছয় বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। যেভাবে প্রতিদিন ভাঙছে, এভাবে ভাঙতে থাকলে অল্প দিনের মধ্যে গোটা গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। কিন্তু ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
চণ্ডীপুর ইউপির চেয়ারম্যান ফুল মিয়া বলেন, দফায় দফায় বর্ষণ ও পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ১০-১২ ফুট পরিমাণ এলাকা ভাঙছে। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) তাগাদা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, ওই সব গ্রামে ভাঙন রোধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ও বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।
জেলা থেকে আরও পড়ুন
রংপুর বিভাগ
নদী
সুন্দরগঞ্জ
গাইবান্ধা
মন্তব্য করুন
বিজ্ঞাপন
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
ভারত থেকে আসা ৪ ব্যক্তির করোনা শনাক্ত
২ ঘণ্টা আগে
আবারও টাঙানো হলো উপাচার্যের হাজিরা খাতা
Comments
Post a Comment