search e book বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর আরোপ না করার দাবি এপিইউবির

SEFAT

Skip to main content

Free fire

 https://youtu.be/Ofw5XNev8Ls Free fire 

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর আরোপ না করার দাবি এপিইউবির


বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর আরোপ না করার দাবি এপিইউবির


নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২১,


বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর প্রস্তাবিত কর আরোপ না করার দাবি জানিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি)। একই সঙ্গে সংগঠনটি করোনা দুর্যোগের এই সময়ে আর্থিকভাবে অসচ্ছল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরকারিভাবে অনুদান-প্রণোদনা দেওয়ার দাবি করেছে।

আজ শুক্রবার সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেনের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ দাবি জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে সমিতি বলেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব মহল এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী ট্রাস্টের অধীন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত। ট্রাস্ট আইন ১৮৮২ অনুযায়ী ট্রাস্টের অধীন পরিচালিত হওয়ায় অলাভজনক প্রতিষ্ঠান করযোগ্য নয়। কোম্পানি আইন ১৯৯৪–এর আওতায় লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত মেডিকেল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সঙ্গে ট্রাস্ট আইনে অলাভজনক হিসেবে পরিচালিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর একই আওতায় সমভাবে আয়কর আরোপের প্রস্তাবনা আইনের পরিপন্থী এবং তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শিক্ষা খাতকে অতি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় সরকার এ খাতে প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা তথা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বিপুল অঙ্কের ভর্তুকি ও অর্থসহায়তা দিয়ে থাকে। কিন্তু বেসরকারি বিশ্বিদ্যালয়গুলো কোনো ধরনের সরকারি বরাদ্দ কিংবা অনুদান না পাওয়ার কারণে এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির ওপর নির্ভর করতে হয়। বেসরকারি বিশ্বিদ্যালয়গুলোর ওপর করারোপ করা হলে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে তা ব্যাপক বৈষম্য সৃষ্টি করবে।

বর্তমানে দেশে ১০৭টি অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

বর্তমান করোনা দুর্যোগকালে অর্থসংকটে পতিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, ক্যাম্পাসভাড়া দেওয়া অনেক ক্ষেত্রেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একমাত্র অর্থপ্রাপ্তির উৎস হিসেবে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফিও নিয়মিত পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া এইচএসসি পরীক্ষা সময়মতো না হওয়ায় শিক্ষার্থীসংকটও দেখা দিয়েছে। অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও টিউশন ফির ওপর ছাড় দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে।



আমাদের সঙ্গে থাকুন

Comments

Popular posts from this blog

বিদ্যালয়জীবনে শিক্ষার্থীদের ভুল ধারণাগুলো কী কী

বিদ্যালয়জীবনে শিক্ষার্থীদের ভুল ধারণাগুলো কী কী প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২১,  একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষাজীবনের একটি বড় সময় অতিবাহিত করে বিদ্যালয়ে। কলেজ কিংবা উচ্চশিক্ষায় প্রবেশের ভিত্তি বলা যায় এই স্কুলজীবনকে। জন্মের পর প্রথম শিক্ষাজীবন শুরু হয় স্কুল থেকে। সহপাঠীদের কোলাহল ও ছাত্র–শিক্ষক মধুর সম্পর্কে ভরে ওঠে বিদ্যালয়ের আঙিনাগুলো। বিদ্যালয়জীবনের কিছু ভুল নিয়ে আজকের লেখাটি।   ১. আমাকে ভালো স্কুলে পড়তে হবে বিশেষ করে অভিভাবকদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়। প্রত্যেক মা–বাবা চান তাঁর সন্তান যেন ভালো স্কুলে পড়ার সুযোগ পান। তাই অল্প বয়সে শিক্ষার্থীদের নামতে হয় বিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধে। ভালো বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে অনেক শিক্ষার্থী ছোটবেলায় হতাশ হয়ে পড়ে। অনুশোচনা করতে থাকে, যা পরবর্তী সময়ে পড়াশোনার ওপর প্রভাব ফেলে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবক উভয়কেই বিষয়টি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কোনো বিদ্যালয় আসলে খারাপ নয়। কোনোটাতে সুযোগ–সুবিধা বেশি আর কোনোটাতে কম। এটাই পার্থক্য শুধু। ২. বিদ্যালয়ের ক্লাস না করলেও চলবে অনেক শিক্ষার্থী মনে করে বিদ্যালয় ক্লাস না করলেও চলবে। অনেকে আবার...

নতুন কেন্দ্র স্থাপনের আবেদন শুরু, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এইচএসসি পরীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২১  ছবি: সংগৃহীত করোনার কারণে ১৫ মাসের বেশি সময় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এ পরিস্থিতিতে গত বছরের এইচএসসি, জেএসসি ও প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি । তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কেন্দ্রে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। ইতিমধ্যে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এ পরীক্ষার নতুন কেন্দ্র স্থাপন ও কেন্দ্র পরিবর্তনের আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে ঢাকা বোর্ড। ১ জুন থেকে শুরু হওয়া এ আবেদন চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষা তালিকাভুক্ত সব কেন্দ্রকে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নিতে হবে। বিজ্ঞাপন ১ জুন ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। নতুন কেন্দ্র স্থাপন ও কেন্দ্র পরিবর্তনের বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২১ সালে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষার জন্য নতুন কেন্দ্র স্থাপন এবং কেন্দ্র পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ৩০ জুনের মধ্যে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর আবেদন করতে হবে। এ আব...